আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা

দেশ যত উন্নত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা তত বেশি প্রসারিত হচ্ছে। কারণ ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শিল্পায়নের সাথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার একটি যোগসূত্র আছে।

যখন একটি দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে তখন সেই দেশে আমদানির পরিমাণ বেড়ে যায়। সেটা হতে পারে শিল্পের কাঁচামাল, ভোগ্যপণ্য বা অন্য যেকোন পণ্য। অন্যদিকে একটি দেশ যখন শিল্পে অগ্রসর হয়ে যায় তখন সেই দেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে যায়।

আমাদের দেশেও ঠিক এই কারণে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আয় বাড়ার সাথে সাথে ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে। এই বাড়তি চাহিদা পূরণ করার জন্য আমদানিকারকেরা আমদানি করছেন। আর শিল্পে আমাদের দেশ যথেষ্ট এগিয়ে গেছে তাই রপ্তানির পরিমাণ বাড়ছে।

কিভাবে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন  

আপনি যদি ব্যক্তি হিসেবে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে আমদানি-রপ্তানি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলেই হবে। সে ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স থাকলেই হবে। আর যদি কোম্পানি গঠন করে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে নাম নিবন্ধন করতে হবে। নাম নিবন্ধন হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। তারপর আমদানি এবং রপ্তানি শুরু করার লাইসেন্সের জন্য আপনাকে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর বরাবর আবেদন করতে হবে। আপনি চাইলে শুধু আমদানির জন্য  লাইসেন্স করতে পারেন আবার চাইলে শুধু রপ্তানির জন্য লাইসেন্স করতে পারেন। আপনার যদি আমদানি-রপ্তানি উভয় ব্যবসা করতে হয় তাহলে আমদানি এবং রপ্তানির উভয়ের জন্য লাইসেন্স করবেন। লাইসেন্স করার জন্য ৩ হাজার টাকা ফি দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমের সাথে কিছু ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে –

  • ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি,

  • TIN

  • ব্যাংক প্রত্যয়নপত্র

  • স্বীকৃত চেম্বার/অ্যাসোসিয়েশন থেকে বৈধ মেম্বারশিপের সার্টিফিকেট, ফি জমাদানের প্রমাণ হিসেবে ট্রেজারি চালানের মূল কপি,

  • অংশীদার প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে রেজিস্টার্ড অংশীদারি দলিলের সত্যায়িত কপি,

  • লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন, আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশনের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।

আমদানি সনদ পাওয়ার জন্য একজন আমদানিকারককে আমদানি মূল্যসীমার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হবে, যেমন –

আমদানি নিবন্ধন ফি

রপ্তানি সনদের জন্য নিবন্ধন ফি –

রপ্তানি নিবন্ধন ফি

আমদানি-রপ্তানি সনদ পাওয়ার পর আপনাকে আরেকটি লাইসেন্স করতে হবে সেটা হচ্ছে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার। কারণ আপনি পণ্য বিক্রয়ের সময় ভ্যাট নিবেন। সেই ভ্যাট সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে এই লাইসেন্স নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

বাংলাদেশ থেকে যে সব পণ্য রপ্তানি হয় 

বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় এমন কিছ রপ্তানি পণ্যের তালিকা হচ্ছে –

  • পোশাক

  • চামড়া

  • পাটজাত দ্রব্য

  • হিমায়িত খাবার

  • ঔষধ

  • ফুটওয়্যার

  • হস্তশিল্প

এসব পণ্য ছাড়াও অন্যান্য অনেক ধরণের পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে কিন্তু সেগুলো পরিমাণে কম। তবে আপনি যখন পণ্য রপ্তানি করতে যাবেন তখন আপনাকে রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য সম্পর্কে জানতে হবে। রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য হচ্ছে –

রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য

বাংলাদেশে যেসব পণ্য আমদানি হয়

বাংলাদেশে প্রায় সব ধরণের পণ্য আমদানি হয়। এর মধ্যে রয়েছে শিল্প-কারখানার জন্য কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, গাড়ি, টেলিভিশন, মোবাইল, কম্পিউটার, এয়ারকন্ডিশন, ওভেন, রেফ্রিজারেটরসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, চর্বি, রাসায়নিক দ্রব্য, ওষুধ, খাদ্যশস্য, শিশুখাদ্য, পানীয় দ্রব্য, খনিজ তেল, ভোজ্যতেল ইত্যাদি। তবে কিছু পণ্য আপনি চাইলেও আমদানি করতে পারবেন না কারণ সেগুলো বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। সেসব নিষিদ্ধ পণ্যের মধ্য রয়েছে –

আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা

কিভাবে পণ্য আমদানি করবেন 

পণ্য আমদানির সনদ পেয়ে যাওয়ার পর আপনি বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে পারবেন। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য প্রথমেই আপনাকে বিদেশি ক্রেতার খোঁজ করতে হবে। এক্ষেত্রে আলিবাবা, ইন্ডিয়া মার্ট  এর মতো ওয়েবসাইট আপনার জন্য অন্যতম ভরসা। এসব ওয়েবসাইটে আপনি খুব সহজে আপনার কাঙ্ক্ষিত পণ্যের বিক্রেতাকে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি সরাসরি অন্য কোন উপায়ে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তারপর দরকষাকষি করে সবকিছু ঠিক করবেন।

দরদাম ঠিক করার সময় শিপিং চারজসহ অন্যান্য খরচের বিস্তারিত জেনে নিবেন। কারণ একটি পণ্য আমদানি করে আপনার বিক্রয় কেন্দ্রে আনা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের খরচ করতে হয়। তাই সবকিছু আগেই জেনে নিবেন।

পণ্যের দাম পরিশোধের জন্য আপনাকে এলসি খুলতে হবে। এলসি হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষ হয়ে রপ্তানিকারককে এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে আমদানিকারক পণ্য বুঝে পাওয়ার পর ব্যাংক পণ্যের মূল্য পরিশোধ করবে।

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশে সকল পণ্য আমদানি করতে হয় ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে। আঞ্চলিক কাস্টমস অফিস থেকে নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে তা পূরণ করে সেই অফিসে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। ঘোষণাপত্রের সাথে যেসব ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে –

  • বিক্রেতা থেকে পাওয়া বাণিজ্যিক চালান বা বিক্রয় ডকুমেন্টের চুক্তিপত্র

  • পণ্য পরিবহণ ডকুমেন্ট যেমন বহন পত্র বা এয়ারওয়ে বিল

  • যদি প্যাকিং তালিকা থাকে তাহলে তা জমা দিতে হবে

  • সার্টিফিকেট অব অরিজিন যাকে রপ্তানিকারক কর্তৃক সরবরাহকৃত মূল সার্টিফিকেট বলে

  • আপনি যে ধরণের পণ্য আমদানি করবেন সেই ধরণের উপর নির্ভর করে অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যুকৃত কোন আমদানি লাইসেন্স বা অনুমতিপত্রের কপি

আপনি চাইলে পণ্য আসার ৭ দিন আগে অগ্রিম ঘোষণাপত্রও জমা দিতে পারেন।তারপর যখন পণ্য বন্দরে এসে পৌঁছাবে তখন আপনি সি এন্ড এফ এজেন্ট দিয়ে পণ্য খালাস করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ প্রফোরমা ইনভয়েজ কি? প্রফোরমা ইনভয়েজে কি কি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে?

কিভাবে পণ্য রপ্তানি করবেন 

পণ্য রপ্তানি করার জন্য প্রথমে আপনাকে আমদানিকারকের সাথে বিক্রয় মূল্যসহ আনুষাঙ্গিক খরচের বিষয়ে দরদাম ঠিক করে নিবেন। পণ্যের প্যাকিং কি রকম হবে এবং শিপিং কোন মাধ্যমে হবে এসব বিষয়ে পরিষ্কার হয়ে নিবেন। পণ্যের স্যাম্পল পাঠাতে হবে কিনা আর পাঠাতে হলে তার খরচ কে দিবে সে ব্যাপারে ডিল করে নিবেন।

পণ্য রপ্তানি আদেশ পাওয়ার পর আপনাকে একটি প্রফোরমা ইনভয়েস (পিআই) করতে হবে। এতে বিভিন্ন ধরণের বিষয় উল্লেখ থাকে যেমন প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা এবং পণ্যের বিবরণ ইত্যাদি। এই ইনভয়েসটির নাম্বার এলসি করার সময় লাগবে।

এই ইনভয়েসটি আমদানিকারককে পাঠিয়ে দিবেন তিনি সেটা ব্যাংকে জমা দিয়ে এলসি খুলবেন।

আমদানিকারক এলসি খোলার পর আপনি যে ব্যাংকের সুইফট কোড ব্যবহার করে ইনভয়েস তৈরি করেছিলেন সেই ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করবেন। তাদের জানালে তারা আপনাকে আমদানিকারকের ইস্যু করা এলসির একটি কপি দিয়ে দিবে। এর সাথে আপনি একটি EXP ফর্ম পাবেন যেখানে আপনার পণ্যের বিস্তারিত লেখা থাকবে। আপনি ব্যাংক থেকে এলসি’র টাকা পেয়ে যাবেন।

বন্দরের কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে সিএন্ডএফ এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। তারা বন্দর থেকে পণ্য পাঠানোর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

পণ্য পাঠানোর পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন ইনভয়েস, প্যাকিং সংক্রান্ত কাগজ, বি এল ইত্যাদি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ব্যাংক এসব ডকুমেন্ট আমদানিকারককে পাঠিয়ে দিবে। আমদানিকারক এসব ডকুমেন্ট দেখিয়ে তাঁর দেশের বন্দর থেকে পণ্য খালাস করে নিবেন।

একজন রপ্তানিকারক যেসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন

সরকার সবসময় পণ্য রপ্তানিকে উৎসাহিত করে। এজন্য সরকার একজন রপ্তানিকারককে তার পণ্য রপ্তানি সহজ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের সুবিধা দিয়ে থাকে। এসব সুবিধার মধ্যে রয়েছে –

  • রপ্তানির জন্য সরকারকে কোন ধরণের ট্যাক্স দিতে হয় না। উল্টো সরকার অনেক সময় পণ্য রপ্তানির জন্য ভর্তুকি দিয়ে থাকে।

  • রপ্তানিকারকদের সুবিধার জন্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে টিআইসি শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যেখানে রপ্তানি বিষয়ক বিভিন্ন বই আছে। সেখান থেকে একজন রপ্তানিকারক সহজেই রপ্তানি বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন। যেমন নির্দিষ্ট পণ্যের বিদেশি ক্রেতাদের তালিকা, কোন পণ্যের জন্য কোন দেশের বাজার ভাল এবং সেসব দেশে পণ্য পাঠাতে পণ্যের মান কেমন হতে হবে ইত্যাদি।

  • রপ্তানিকারকদের জন্য এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোতে (ইপিবি) একটি রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল রয়েছে। এই তহবিল থেকে রপ্তানিকারকরা কম সুদে এবং সহজ শর্তে ভেঞ্চার-ক্যাপিটাল (উদ্যোক্তা-বান্ধব অর্থায়ন) পেয়ে থাকেন।

  • রপ্তানিকারকেরা যাতে বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিতে পারে এজন্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সাহায্য করে থাকে।

  • রপ্তানিকারকেরা যাতে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলতে পারে এজন্য সাহায্য করা হয়।

  • পণ্য বিদেশে পাঠানোর জন্য হ্রাসকৃত হারে বিমানভাড়া এবং কন্টেইনার ভাড়াসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়।

আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা শুরু করার জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি 

আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা একটি চ্যালেঞ্জিং এবং লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া। তাই আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে এই বিষয়ে খুব ভালভাবে পরিকল্পনা করতে হবে। আপনার হঠাৎ করে মনে হলো আর এই ব্যবসায় নেমে গেলেন তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন না। আপনাকে আগে এই ব্যবসা সম্পর্কে খুব ভালভাবে জেনে বুঝে তারপর শুরু করতে হবে।

আপনি যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান সেই পণ্যের বাজার সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিবেন। বর্তমানে এই বাজারের চাহিদা এবং সরবরাহ কেমন তা জানতে হবে।

আপনার প্রতিযোগী কারা এবং তাদের মার্কেট শেয়ার কতটুকু সে সম্পর্কে জানতে হবে।

কোন দেশে কোন ধরণের পণ্য সুলভ মূল্যে পাওয়া তা আপনাকে জানতে হবে। পণ্যের মান সম্পর্কেও ভালভাবে অবহিত হতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে কোন কোন পণ্য কোন কোন দেশে রপ্তানি হচ্ছে এবং কোন দেশগুলো আমাদের দেশের পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার তা আপনাকে জানতে হবে।

আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা শুরু করার আগে এই ধরণের ব্যবসায় যারা যুক্ত আছেন তাদের সাথে পরামর্শ করতে হবে এবং সুযোগ থাকলে তাদের সাথে থেকে হাতে কলমে কাজ শিখতে হবে।

এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করতে হবে। কারণ আপনাকে বিদেশি বায়ারদের বা আমদানিকারকদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে হবে। তাই ইংরেজি জানাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ আমদানি-রপ্তানি পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে তাই আপনি যোগাযোগে যত বেশি দক্ষ হবেন তত বেশি আপনার সুবিধা হবে।

পরিশেষে 

আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা শুরু করার এই গাইডলাইন পড়ার পর আপনি এখন খুব সহজেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে হাতে কলমে কিছু প্রশিক্ষণ নেওয়া ভাল। এর ফলে আপনি আরও সহজে আমদানি-রপ্তানির প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। আপনার আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা সফল হোক এই কামনা করি।

বাংলাদেশ বিজনেস জার্নাল বাংলাদেশের প্রথম গবেষণাধর্মী একটি বিজনেস ব্লগ। আমরা উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্পর্কিত বিভিন্ন আইডিয়া, পরিসংখ্যান এবং সম্ভাবনা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমাদের লেখা এবং পরামর্শ যদি উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির পাথেয় হয়ে থাকে তাহলেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here