আমাদের দেশে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার প্রতি অনেকের আগ্রহ আছে। এই আগ্রহের পেছনে অনেক কারণ আছে। একটি বড় কারণ হচ্ছে পোশাক হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। মোট রপ্তানির ৮৩ ভাগ আসে পোশাক রপ্তানি থেকে। বিশ্ব বাজারে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের রয়েছে শক্ত অবস্থান। কখনো দ্বিতীয় আবার কখনো তৃতীয় হয়। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের হিস্যাও অনেক। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদন মতে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির হিস্যা হচ্ছে ৬.৩ শতাংশ। এর চেয়ে বেশি হিস্যা আছে কেবল চীন এবং ভিয়েতনামের।
শুধু যে বিদেশে পোশাক রপ্তানির জন্য গার্মেন্টস ব্যবসা করবেন তা নয়, আমাদের দেশেও রয়েছে পোশাকের বিশাল বাজার। দেশের বাজারকে টার্গেট করেও গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার ধাপ

একটি গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোন ধরণের গার্মেন্টস ব্যবসা করতে চান। আমাদের দেশে কেউ ওভেন পোশাক তৈরির গার্মেন্টস, কেউ নীট গার্মেন্টস আবার কেউ বিশেষায়িত গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করে। গার্মেন্টসের ধরণের উপর ডকুমেন্টসের কিছু পার্থক্য হয়ে থাকে। তবে সব ধরণের পোশাক কারখানা প্রতিষ্ঠার ধাপগুলো একই।
গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার ধাপসমূহঃ
১. নিবন্ধন এবং লাইসেন্স গ্রহণ প্রক্রিয়া
২. আইনি প্রক্রিয়া
৩. কারখানা স্থাপন এবং ব্যবসা শুরু
১. নিবন্ধন এবং লাইসেন্স গ্রহণ প্রক্রিয়া
গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমেই আপনাকে গার্মেন্টস কোম্পানির জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। নিবন্ধনের প্রথম ধাপ হচ্চে নামের ছারপত্র সংগ্রহ করা। এজন্য আপনাকে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) বরাবর নির্দিষ্ট ফি প্রদানপূর্বক নামের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে।
নামের ছারপত্র পাওয়ার পর রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন নামের ছাড়পত্র, মেমোর্যান্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন এবং আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি যুক্ত করে আবেদন করতে হবে। পাবলিক এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ডকুমেন্টে কিছু পার্থক্য আছে। আপনার কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৭ দিনের মধ্যে নিবন্ধন পেয়ে যাবেন।
কোম্পানি সংক্রান্ত সকল কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর আপনাকে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার জন্য লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি যে ধরণের গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করতে চান তার উপর নির্ভর করবে আপনার কি কি ডকুমেন্ট লাগবে। নিচে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করার জন্য যেসব ডকুমেন্ট লাগতে পারে তার একটা তালিকা দেওয়া হলো –
-
ট্রেড লাইসেন্স
-
সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন
-
ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (টিন)
-
ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট
-
ভ্যাট নিবন্ধন সার্টিফিকেট
-
ফায়ার লাইসেন্স
-
পরিবেশ ছাড়পত্র
-
কারখানার ছাড়পত্র
-
কারখানার লেআউট পরিকল্পনার অনুমোদন
-
বন্ড লাইসেন্স
-
বয়লার লাইসেন্স
-
রপ্তানি নিবন্ধন সার্টিফিকেট
-
আমদানি নিবন্ধন সার্টিফিকেট
-
চেম্বার অব কমার্সের সদস্যপদ
-
বিজিএমইএ / বিকেএমইএ সদস্যপদ
-
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে তালিকাভুক্তির সনদ
good