প্রচলিত ব্যবসায়ের আইডিয়ার মধ্যে ফার্মেসি ব্যবসা একটি আকর্ষণীয় ব্যবসা বলে আমার কাছে মনে হয়। এটি শুধু আকর্ষণীয় ব্যবসাই নয় এটি সারা বছর চলমান থাকবে এমন একটি ব্যবসা। কোভিড-১৯ এর লকডাউনের কথাই চিন্তা করে দেখুন। যখন সবকিছু বন্ধ ছিল তখনও কিন্তু ফার্মেসিগুলো চালু ছিল। দেশে যত সমস্যাই থাকুন না কেন ঔষধের দোকান কখনও বন্ধ হবে না।
ফার্মেসি ব্যবসা তারাই করতে পারবে যাদের ফার্মেসির উপর তিন মাসের একটি কোর্স করা থাকবে। এছাড়া ট্রেড এবং ড্রাগ লাইসেন্স তো আবশ্যিকভাবে লাগবে। এই ব্যবসা শুরু করার আগে ফার্মেসিতে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা আপনার ব্যবসায় সফল হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।
ফার্মেসি ব্যবসার লাইসেন্স
ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স এবং ড্রাগ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগেই সংগ্রহ করতে হয়। ট্রেড লাইসেন্স আপনি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিতে পারবেন। স্থান এবং ব্যবসার ধরণ ভেদে কয়েকশ থেকে কয়েক হাজার টাকা লাইসেন্সের জন্য খরচ হয়।
ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া আপনি ঔষধের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে আপনি ফরম ডাউনলোড করে ড্রাগ লাইসেন্সটি করতে পারবেন। একটি ড্রাগ লাইসেন্স করতে আপনার ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকার মত লাগতে পারে। ড্রাগ লাইসেন্স ৯০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়। ড্রাগ লাইসেন্স করার জন্য আপনার কিছু ডকুমেন্ট লাগবে যেমন –
-
মালিকের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি,
-
ট্রেজারি চালানের মূল কপি,
-
ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি,
-
ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট,
-
ফার্মেসি ফাউন্ডেশন কোর্স সার্টিফিকেটের ফটোকপি,
-
দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র,
-
অঙ্গীকারনামা
-
মডেল ফার্মেসি হলে নিয়োজিত গ্রাজুয়েট, এ, বি, সি-গ্রেড ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশনের সত্যায়িত কপি।