নতুন ব্যবসার আইডিয়া

নতুন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে অনেকের মনেই একটা আগ্রহ থাকে। এই আগ্রহ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। সাধারণত যারা সবসময় সৃজনশীল বিষয় নিয়ে কাজ করতে চায় তারাই নতুন ধারণার তালাশ করে।

নতুন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে লেখার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে সেসব সৃজনশীল উদ্যোক্তাদের সাহায্য করা যারা নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসার সাফল্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যারা নতুন ধারণা নিয়ে ব্যবসার জগতে আসছে তারাই বেশি সফল হচ্ছে।

১০ টি নতুন ব্যবসার আইডিয়া

১. পর্যটক আপ্যায়ন ব্যবসা

নতুন ব্যবসার আইডিয়া

এটি আমাদের দেশের জন্য একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া। এই ব্যবসার প্রবর্তক হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সফল স্টার্টআপ কোম্পানি Airbnb। তারাই যুক্তরাষ্ট্রে এই ব্যবসা প্রথম শুরু করে।

এই ব্যবসার মূল বিষয় হচ্ছে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করা। তবে কোন আবাসিক হোটেলে নয়, সাধারণ মানুষের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে যেখানে আগ্রহী মানুষ যারা তাদের বাড়ির কক্ষ পর্যটকদের ভাড়া দিতে চায় তারা আপনার ওয়েবসাইটে তাদের বাড়ির সুযোগ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করে নিবন্ধন করবে। অন্যদিকে যেসব পর্যটক সেসব বাড়িতে থাকতে চাইবে তারা আপনার ওয়েবসাইটে নিজেদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করবে। আপনার কোম্পানির কর্মীরা সেসব বাড়ির সুযোগ সুবিধা যাচাই করে দেখবে।

পর্যটকরা যেসব বাড়িতে থাকতে চাইবে তাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সার্ভিস ফি প্রদান করবে যা আপনার কোম্পানি নির্ধারণ করে দিবে। আপনার আয় হচ্ছে সেই পর্যটক আপনার কোম্পানিকেও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিবে এবং যেসব বাড়ি পর্যটক আপ্যায়নের দায়িত্ব নিবে তারাও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি আপনার প্রতিষ্ঠানকে দিবে।

নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এটি বাংলাদেশে যথেষ্ট লাভজনক ব্যবসা হবে। কারণ আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি মানুষ বাংলাদেশের বিভিন্ন যায়গায় ভ্রমণ করতে যায়। কিন্তু এখানে বড় সমস্যা হচ্ছে থাকার সমস্যা। অনেক যায়গায় মানসম্মত হোটেল নেই আবার অনেক যায়গায় হোটেল ভাড়া অনেক বেশি ব্যয়বহুল। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে পর্যটক আপ্যায়ন ব্যবসার মডেল।

আরো পড়ুনঃ ২০২১ সালের জন্য ৮০ টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

২. ব্লগ বিজনেস 

ব্লগ বিজনেস উন্নত দেশে পুরাতন হয়ে গেলেও আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এটি একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া। কারণ আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ প্রযুক্তি সম্পর্কে এখনো খুব কম জানে। তাই এই ধরণের ব্যবসা আমাদের দেশে এখনো সেভাবে প্রসারিত হয় নি।

সহজ কথায় ব্লগ বিজনেস হচ্ছে আপনি একটি ব্লগ তৈরি করবেন, তারপর আপনি একটি নির্দিষ্ট টপিকের উপর আর্টিকেল লিখবেন। তবে সব টপিক সমান লাভজনক নয়। যেসব বিষয়ে মানুষের আগ্রহ আছে সেসব বিষয় নিয়ে লিখবেন। আর অবশ্যই সে বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে।

আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন তার মাঝে আপনার সার্ভিস বা পণ্যের বিজ্ঞাপন দিবেন। যেমন আপনি ভাল ওয়েব ডিজাইনার। আপনি আর্টিকেলের মাঝে একটি বিজ্ঞাপন দিলেন যারা প্রফেশনাল ব্লগ তৈরি করতে চান তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। বা আপনি প্রযুক্তি নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেখানে আপনি মোবাইল বা অন্যকোন প্রযুক্তি পণ্যের বিজ্ঞাপন দিলেন। আপনার নিজের পণ্য না থাকলেও সমস্যা নেই অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে অ্যাফিলিয়েট করে তাদের পণ্য বিক্রি করে কমিশন লাভ করতে পারবেন। আপনার ব্লগে যত ভিজিটর আনতে পারবেন তত আপনার আয় বাড়বে।

আরো পড়ুনঃ ২০২১ সালের জন্য ১০ টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

৩. রিয়েল এস্টেট ক্রাউডফান্ডিং

ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল। রিয়েল এস্টেট ক্রাউডফান্ডিং বিষয়টাও এরকম। কিছু মানুষের ফান্ড একত্র করে যায়গা বা বাড়ি বা ফ্ল্যাট ক্রয় করা এবং সেটি পরবর্তীতে বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে মুনাফা ভাগ করে নেওয়া অথবা ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া।

এই ধরণের ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই সততা রক্ষা করতে হবে। কারণ এখানে বিশ্বাসের ব্যাপার জড়িত। যিনি উদ্যোক্তা তিনি যদি বিশ্বাস ভঙ্গ করেন তাহলে ফান্ড সংগ্রহ করতে পারবেন না। অর্থাৎ মানুষের বিশ্বাস কোনভাবেই নষ্ট করা যাবে না।

এই ধরণের ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য আপনাকে আর্থিক বিষয়ে অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ দিতে হবে। কারণ সব কিছু ভালভাবে বিশ্লেষণ না করে কোন সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করা যাবে না। যেখানে বিনিয়োগ করলে ভাল পরিমাণে মুনাফা করা যাবে শুধুমাত্র সেখানেই বিনিয়োগ করতে হবে।

৪. প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা 

নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা হচ্ছে ব্যবহৃত প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাতকরণ করে পুনঃব্যবহার উপযোগী করে বিক্রি করা।

বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক উদ্যোক্তা প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসায় আসছে। এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহ করতে হবে। ভাঙ্গারির দোকান থেকে আপনি ব্যবহৃত প্লাস্টিক ক্রয় করতে পারবেন। পুরাতন প্লাস্টিক সংগ্রহ করে সেগুলোকে কেটে কুচি কুচি করে প্লাস্টিকের দানা তৈরির মেশিনে দিতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার পর সেখান থেকে প্লাস্টিকের দানা তৈরি হয়। এই দানা আপনি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করতে পারবেন। প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কোম্পানিগুলোর কাছে এই দানার চাহিদা খুব বেশি।

৫. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

নতুন ব্যবসার আইডিয়া

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে সৃজনশীল ব্যক্তিদের ব্যবসা। সৃজনশীল বলছি এই কারণে যে এই ব্যবসা করতে হলে আপনাকে সৃজনশীল হতেই হবে। আপনার পরিকল্পনার মধ্যে নতুনত্ব থাকতে হবে। ভালভাবে পরিকল্পনা করতে না পারলে আপনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায় সফল হতে পারবেন না।

এছাড়া আপনাকে যোগাযোগে পারদর্শী হতে হবে। কারণ একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন জনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আপনি যদি ভালভাবে গুছিয়ে কথা না বলতে পারেন তাহলে মানুষকে কনভিন্স করতে আপনার জন্য কঠিন হবে।

ধরেন আপনি একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য একজন ভাল উপস্থাপক খুঁজছেন। কিন্তু আপনার যোগাযোগ অদক্ষতার কারণে আপনি সবচেয়ে ভাল উপস্থাপককে কনভিন্স করতে পারলেন না। তখন আপনাকে একজন কম দক্ষ লোককে দিয়ে আপনাকে কাজ চালাতে হবে যা আপনার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায় মন্দা ডেকে আনতে পারে।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা করার জন্য আপনার কিছু উদ্যমী এবং স্মার্ট কর্মী লাগবে যারা আপনার কাজে সব ধরণের সাহায্য করবে।

৬. অনলাইন রিসেলিং বিজনেস 

আমাদের সবার বাড়িতে কিছু না কিছু জিনিস অব্যবহৃত পড়ে থাকে। এসব অব্যবহৃত জিনিসপত্র অনলাইনে পুনরায় বিক্রি করে আপনি আয় করতে পারেন। তাই পুরাতন পণ্য বিক্রি করার জন্য একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন বা ফেসবুকে পেইজ বা গ্রুপ খুলে সেখানে বিক্রি করতে পারেন।

আপনার কাজ হচ্ছে পুরাতন পণ্য বিক্রি করার একটা প্লাটফর্ম তৈরি করা। তারপর বিজ্ঞাপন দিয়ে তা মানুষকে জানানো। আপনার প্লাটফর্ম যখন জনপ্রিয় হবে তখন আপনি বিভিন্ন ধরণের সার্ভিস চার্জ ধার্য করবেন। এছাড়া আপনার প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা রাখবেন সেখান থেকে আপনার ভাল পরিমাণে আয় হবে।

আরো পড়ুনঃ ই-কমার্স ব্যবসা কি? কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন?

৭. অনলাইনে পিডিএফ বিক্রি  

আমাদের দেশের জন্য এটি একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া কারণ খুব কম মানুষ এই ব্যবসা সম্পর্কে জানে। বেশিরভাগ মানুষ মনে করে বই লেখার পর তা প্রকাশকের মাধ্যমে প্রকাশ করে তারপর বাজারে বিক্রি করতে হবে।

কিন্তু অনলাইনে পিডিএফ বিক্রি আপনাকে সকল ঝামেলা থেকে মুক্তি দিবে। প্রকাশকের কাছে যাওয়া এবং তাদের সাথে দর কষাকষি করে বই ছাপানো এসব আপনাকে করতে হবে না। আপনি বাড়িতে বসে আপনার জানা বিষয়ে বই লিখে পিডিএফ তৈরি করবেন তারপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা আপনার ব্লগের মাধ্যমে বিক্রি করবেন।

বর্তমানে অল্প খরচে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন্ দেওয়া যায়। এমন হতে পারে আপনি ১,০০০ টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে ৫,০০০ টাকা বা তার চেয়ে অনেক বেশি টাকার পিডিএফ বিক্রি করে ফেললেন। এটা সম্ভব কিছু না। অনেকেই এভাবে ভাল পরিমাণে আয় করছে।

৮. অনলাইন কনসালটেন্সি বিজনেস 

online consultancy business.

কনসালটেন্সি শব্দটা দেখে আপনার মনে হতে পারে এসব কাজ হচ্ছে বড় বড় জ্ঞানীদের ! সাধারণ কারো দ্বারা এটা সম্ভব না। কিন্তু আমি বলি কি এটা সবার দ্বারাই সম্ভব।

মানুষ কখন পরামর্শ দেয়? যখন সে কোন বিষয়ে খুব ভাল জানে তখন সে পরামর্শ দিতে পারে। আপনি এখন নিজে চিন্তা করে দেখেন আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী। আপনি মনে রাখবেন প্রত্যেকটি মানুষ কোন না কোন বিষয়ে খুব দক্ষ যেমন কেউ রান্নায়, কেউ আবিষ্কারে, কেউ সাহিত্যে, কেউ হিসাব শাস্ত্রে, কেউ প্রযুক্তিতে, কেউ হাতের কাজে, কেউ শরীর চর্চায়, কেউ টেকনিক্যাল কাজে দক্ষ।

আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে কনসালটেন্সি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে আপনি এই বিষয়ে দক্ষ সেটা আপনাকে মানুষের সামনে প্রমাণ করতে হবে। কিভাবে প্রমাণ করবেন? দুইটা মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি নিজেকে মানুষের সামনে দক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। একটি হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আরেকটি হচ্ছে নিজের ব্লগের মাধ্যমে।

এই দুটি মাধ্যমে আপনাকে নিয়মিত লেখালেখি করতে হবে বা সরাসরি ভিডিও পোস্ট করতে হবে। আপনার লেখা পড়ে এবং ভিডিও দেখে একসময় মানুষ আপনাকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের একজন এক্সপার্ট বলে স্বীকার করে নিবে। তারপরই আপনি কনসালটেন্সি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে মানুষ আপনার পরামর্শ গ্রহণ করবে।

৯. বিশেষ খাবারের দোকান 

আমরা পাড়া মহল্লায় যেসব খাবারের দোকান দেখি সেগুলো সাধারণত গতানুগতিক হয়ে থাকে। যেমন কেউ ফাস্টফুডের দোকান দিল সেখানে গতানুগতিক ফাস্টফুডের আইটেম দেখা যায়। রেস্টুরেন্টগুলোতে দেখা যায় প্রচলিত খাবার। কিন্তু বিশেষ খাবারের দোকান খুব কম পাওয়া যায়। যেখানে পাওয়া যার সেখানে কিন্তু ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে।

আমার একটা অভিজ্ঞতার কথাই বলি। একবার মিরপুরে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। যাওয়ার কারণ হলো সেখানে গরুর হার দিয়ে নাকি স্পেসাল নিহারি তৈরি হয়। অনেকের মুখে শুনে তারপর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ছোট একটা রেস্টুরেন্টে প্রায় ৫০-৬০ জন ভিড় করে আছে। বসার টেবিল চেয়ারের সংকট! একজন খেয়ে উঠলে তারপর আরেকজন যায়গা পাবে, এই অবস্থা। যাই হোক প্রায় আধা ঘণ্টা পর খাওয়ার সুযোগ পেলাম। গরম পরোটা দিয়ে নিহারি খাওয়ার পর বুঝলাম কেন এত মানুষ এখানে আসে।

আপনিও চাইলে আপনার এলাকায় এরকম কোন খাবারের দোকান দিতে পারেন। সেটা যে কোন খাবার হতে পারে কিন্তু খাবারটা এমনভাবে রান্না করতে হবে যাতে মানুষ সেটাকে বিশেষ খাবার হিসেবে গণ্য করে। আপনার সুনাম যখন মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে যাবে তখন এমন হতে পারে আপনি খাবার সাপ্লাই দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পাবেন না। দেখবেন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ খাওয়ার জন্য ছুটে আসছে।

১০. ক্লিনার সাপ্লাই ব্যবসা 

যদিও এটি পুরাতন ব্যবসা তারপরও নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ক্লিনার সাপ্লাইকে রাখলাম। এর কারণ হচ্ছে আপনি প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে নতুন মডেলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি যদি নতুন মডেলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই ভাল সাড়া পাবেন কারণ বর্তমানে ক্লিনারের চাহিদা অনেক। বাড়িঘর থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সব যায়গায় ক্লিনারের প্রচুর চাহিদা।

এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে প্রথম পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্লিনার সংগ্রহ করতে হবে। তারপর তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একটি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করতে হবে। সেখানে আপনার নিয়োগ করা প্রশিক্ষকরা তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিবেন। মনে রাখবেন প্রশিক্ষিত মানুষের চাহিদা বেশি থাকে তাই তাদের বেতনও বেশি। বেতন বেশি হলে আপনার কমিশনও বেশি হবে।

বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানে ক্লিনার নিয়োগ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে যারা প্রশিক্ষিত ক্লিনার তাদেরকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সুতরাং আপনার এখানে বড় একটা ব্যবসার সুযোগ আছে। নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে আপনি যদি নিয়মিত বিভিন্ন বাসাবাড়িসহ অফিসে ক্লিনার সাপ্লাই দিতে পারেন তাহলে এই ব্যবসা আপনার জন্য খুবই লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হবে।

বাংলাদেশ বিজনেস জার্নাল বাংলাদেশের প্রথম গবেষণাধর্মী একটি বিজনেস ব্লগ। আমরা উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্পর্কিত বিভিন্ন আইডিয়া, পরিসংখ্যান এবং সম্ভাবনা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমাদের লেখা এবং পরামর্শ যদি উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির পাথেয় হয়ে থাকে তাহলেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here